উখিয়া নিউজ ডেস্ক::
অপার সম্ভাবনা আর অপরুপ সৌন্দর্যময় পাথুরে বীচ ইনানী ভ্রমণপিপাসুদের হাতছানী দিয়ে ডাকছে। বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত দেশের সর্বদক্ষিণের জেলা কক্সবাজারে অদুরেই অবস্থিত ইনানী বীচ।
পূর্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা প্রাকৃতিক পাহাড়, পশ্চিমে পাথরে আঁচড়ে পড়া নীল সাগরের বিশাল ঢেউ, সূর্যাস্তের মনোরম দৃশ্য, লাল কাঁকড়াদের হুড়োহুড়ি, সাগরের পাশাপাশি বড়, ছোট খালে জেলেদের মাছ শিকারের দৃশ্য, সবুজ গ্রামের চিত্র এই যেন প্রকৃতির এক অপরুপ মেলবন্ধন, সৌন্দর্য্যের বাহার সাজিয়েছে। প্রকৃতির এই রুপ অবলোকন করতে দেশ-বিদেশ থেকে হাজারো পর্যটক ছুটে আসে ইনানীতে।
জেলা শহরের কলাতলী হয়ে যাত্রীবাহী বাস, মোটরবাইক, ব্যাটারীচালিত টমটম গাড়ীসহ বিভিন্ন যানবাহন নিয়ে মেরিন ড্রাইভ সড়ক হযে ইনানী পাথুরে বীচে আসা যায়। এছাড়াও ব্যাটারিচালিত টমটমে করে মেরিন ড্রাইভের সৌন্দর্য দর্শন করা যায়।
কক্সবাজার থেকে ইনানী ভ্রমণে আসলে পর্যটকদের জন্য দর্শনীয় স্থান হিসেবেও দরিয়ানগর, হিমছড়ি ঝর্ণা, বিভিন্ন আন্তর্জাতিকমানের রেস্টুরেন্টের গড়ে তোলা নিজস্ব পার্ক, বিশাল বিশাল সুপারি বাগান, প্রাকৃতিক পাহাড়, দৃষ্টিনন্দন সারি সারি ঝাউবাগান, বিদেশি চিংড়ি উৎপাদনকারী হ্যাচারী।
এছাড়াও ইনানী বিচের অদুরেই পাটুয়ারটেক সী-বীচ। পাটুয়ারটেক সী-বিচের একটু পূর্বে পাহাড়ের নিচে রহস্যময়ী কানা রাজার গুহা। কানা রাজার গুহার পাশেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত ঐতিহাসিক ফইল্লা চাকমার মাচাং ঘর।
দেশি-বিদেশি পর্যটকরা ইনানী বীচে অবকাশ যাপন করতে চাইলেও স্বল্প সংখ্যক আবাসিক হোটেল-মোটেল থাকায় পযর্টকদের ঝামেলা পোহাতে হয় বলে জানান ঢাকা থেকে আসা পর্যটক দম্পতি কাসেম চৌধুরী ও সালমা চৌধুরী। তারা বলেন, ইনানী বীচের সৌন্দর্য সম্পর্কে এতোদিন শুনলেও আজ নিজেরা এসে মুগ্ধ আর মোহিত হলাম। এই যেন নিজ দেশেই ক্যারিবিয়ান দ্বীপ।
ভ্রমণে আসা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইমতিয়াজ খান জানান, ইনানী সী-বীচ তথা কক্সবাজারের মনোরম পরিবেশ দেখে খুব ভালই লেগেছে। এইখানে এসে উপভোগ করলাম সূর্যাস্তের মনোরম দৃশ্য। পাথরের ওপর ছোটাছুটির স্মৃতি ক্যামেরাবন্দি করা। স্মৃতির পাতায় আজীবন অক্ষত থাকবে ইনানী ভ্রমণ।
ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আরিফুল ইসলাম বলেন, ইনানী বীচে পর্যটকদের নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ সবসময় সচেষ্ট আছে।
ইনানী বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সভাপতি এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাঈন উদ্দিন ইনানীর পাথুরে বীচের গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, প্রকৃতির অপরূপ সাজে সজ্জিত নয়নাভিরাম পর্যটন স্পট ইনানী পাথুরে বীচের সৌন্দর্য বাড়াতে কাজ করা হচ্ছে। তিনি সাংবাদিকদের লেখনীর মাধ্যমে ইনানী বীচের সুযোগ সুবিধার বিষয় বিশ্ববাসীকে জানান দেয়ার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি অনুরোধ জানান।
এদিকে স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, একটা বিশেষ পর্যটন নীতি প্রণয়ন করে টুরিস্টদের ভিড় কক্সবাজার শহর কেন্দ্র থেকে উপকণ্ঠে সরিয়ে দিতে হবে। ইনানী বীচ এলাকায় অন্যান্য আকর্ষণ সৃষ্টি করতে হবে।
সুত্র: মানবকন্ঠ অনলাইন
পাঠকের মতামত